ই-ঋন এর নির্দিষ্ট নিয়ম ও শর্তাবলী
(ঋণ আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার পূর্বে আপনাকে অত্র ইঋণের নিয়মকানুন ও শর্তাবলীসমূহ পড়ার পরামর্শ দেওয়া হলো)
আপনি ঢাকা ব্যাংকের এই ওয়বেসাইটটির ইঋণ এবং/অথবা এই ওয়বেসাইট প্রদত্ত অন্যান্য সেবা এর জন্য ব্রাউজিং, দেখা, প্রবেশ এবং/অথবা ব্যবহার এর মাধ্যমে নিন্মলিখিত সমস্ত শর্তাবলী (বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজন অনুসারে যা সংশোধিত, পরিবর্তিত, পুনঃস্থাপিত, পুনর্নবীকরণ, প্রতিস্থাপিত, পরিপূরক, প্রতিস্থাপিত হতে পারে) যা “ইঋণের র্শতাবলীসমূহ” হিসবে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তা মেনে নিচ্ছেন বলে বিবেচিত হবে। আপনাকে অবশ্যই এটি নিশ্চিতকরণ ইমেল, অনুমোদনের চিঠি/ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনাপত্র, ব্যাংকের নীতি, পণ্যের বিজ্ঞাপন এবং ওয়েবসাইটে বা ইঋণ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে আপলোড করা অন্য কোনো নথি এবং ঋণ গ্রহীতা হিসবে আপনার কাছে পাঠানো ইমেল এর সাথে একসাথে মিলিয়ে পড়তে হবে। এই ইঋণ শর্তাবলীসমূহের সাথে অন্য যেকোন নথিপত্রের কোনো অসঙ্গতি থাকলে, এই ইঋণ শর্তাবলীসমূহ প্রাধান্য পাবে। আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, এই ইঋণ সুবিধাটি আপনি কতৃক অত্র ইঋণ শর্তাবলীসমূহ মেনে নেওয়া সাপেক্ষে অনুমোদন করা হবে । ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যাংকিং নীতি (যা এখানে “ডিবিএল”/ “ব্যাংক” হিসাবে উল্লখে করা হয়েছে) অনুযায়ী ঢাকা ব্যাংক সময়ে সময়ে এই ইঋণের শর্তাবলীসমূহ সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, হ্রাস বা বাতিল করার অধিকার রাখে।
অত্র নথিটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এবং এর অধীনে প্রযোজ্য বিধিগুলির পরিপ্রেক্ষিতে এবং সময়ে সময়ে সংশোধিত বিভিন্ন আইনে ইলেকট্রনিক রেকর্ড সম্পর্কিত বিধানগুলির আলোকে একটি ইলেকট্রনিক রেকর্ড। এই ইলেকট্রনিক রেকর্ডটি কম্পিউটার সিস্টেম দ্বারা তৈরি করা এবং এর জন্য কোনো শারীরিক বা ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয় না।
সতর্কতা:
যদি এই ইঋণ ওয়েবসাইটের ভিজিটর একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক/নাবালক হোন, যেমন ১৮ বছরের কম বয়সী, তাহলে তিনি ইঋণ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে নিবন্ধন করতে পারবেননা এবং ইঋণ লেনদেন বা ব্যবহার করতে পারবেননা । একজন নাবালক হিসেবে, যদি কোনো ওয়েবসাইট/অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার বা লেনদেন করতে চান, তাহলে এই ধরনের ব্যবহার বা লেনদেন শুধুমাত্র তাদের বাবা-মা/আইনগত অভিভাবক যারা নিবন্ধন করেছেন এবং যাদের নামে ব্যাংকে একটি অনলাইন অ্যাকাউন্ট আছে তাদের মাধ্যমে করতে হবে। সমস্ত আর্থিক লেনদেন পিতামাতা/আইনগত অভিভাবকদের মাধ্যমে করতে হবে৷ পিতামাতা/আইনগত অভিভাবকরা আবেদনটিতে প্রবেশের জন্য এবং তাদের ১৮ বছরের কম বয়সী সন্তানদের দ্বারা নেওয়া ঋণ পরিশোধের জন্য আর্থিকভাবে দায়ী থাকবেন। ব্যাংক যে কোনো ইঋণ শর্তাবলী লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, কোন ঋণ আবেদনপত্র বাতিল করার অধিকার রাখে।
এই ইঋণ শর্তাবলীসমূহ ব্যবহারকারীর শর্তাবলী, কেওয়াইসি (KYC) নীতি, গোপনীয়তা নীতি এবং অন্যান্য নীতি যা সময়ে সময়ে ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হতে পারে, তার সাথে মিলিয়ে পড়তে এবং বুঝতে হবে।
উক্ত পৃষ্ঠার নীচে গ্রহন/এক্সেপ্ট (ACCEPT) বোতামে ক্লিক করার মাধ্যমে, আপনি অপরিবর্তনীয়ভাবে এবং নিঃশর্তভাবে ঋণ প্রদানের জন্য ইঋণ শর্তাবলী মেনে নিচ্ছেন বলে বিবেচিত হবে এবং এই ই- ঋণ শর্তাবলীসমূহ ব্যাংক এবং ঋণগ্রহীতা হিসেবে এটি একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি হিসবে ধরে নেওয়া হবে ।
সংজ্ঞা সমূহ:
“বকেয়া পরিমাণ“ অর্থ হল সুদ এবং শাস্তিমূলক সুদ সহ মূল ঋণের পরিমাণ এবং অত্র ই- ঋণ শর্তাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংককে ঋণগ্রহীতার দ্বারা প্রদেয় এবং অন্যান্য প্রদেয় পরিমাণ বোঝাবে।
“প্রযোজ্য আইন“ অর্থ হল বাংলাদেশের কোনো বিধি, আইন, জাতীয় সংসদ প্রণীত আইন, প্রবিধান, অধ্যাদেশ, বিধি, রায়, আদেশ, ডিক্রি, উপ-আইন, ছাড়পত্র, নির্দেশনাবলী, নির্দেশিকা, নীতির প্রয়োজনীয়তা, বা কোনো সরকারি বিধিনিষেধ বা অনুরূপ কোনো সিদ্ধান্তকে বোঝাবে। এই চুক্তির তারিখ থেকে কার্যকর হোক বা তারপরে, এবং যেকোন আইন, বিজ্ঞপ্তি, অধ্যাদেশ, উপ-বিধি, বিধি এবং অন্য সবকিছু অন্তর্ভুক্ত করবে।
“ঋণগ্রহীতা“ বলতে বোঝায় যেকোনো ব্যক্তি যিনি ব্যাংক থেকে এই ই- ঋণ সুবিধাটি গ্রহণ করেছেন।
“ব্যবসা/কার্য দিবস /ব্যাংকিং দিবস“ মানে যে দিনগুলিতে ব্যাংক স্বাভাবিক সময়ে কার্যদিবস হিসেবে খোলা থাকে।
“চুক্তি“ অত্র এই ই- ঋণ শর্তাবলীসমূহ, ব্যাংকের বিভিন্ন নীতি এবং ব্যবহারকারীর জন্য প্রযোজ্য নিয়ম ও শর্তাবলী অন্তর্ভুক্ত থাকবে (যা সময়ে সময়ে সংশোধিত, পরিবর্তিত, পুনঃস্থাপিত, পুনর্নবীকরণ, প্রতিস্থাপিত, পরিপূরক, প্রতিস্থাপিত বা নতুন করে করা হয়েছে)।
“বিতরণ“ অত্র ঋণের অধীনে ঋণগ্রহীতাকে অগ্রীম হিসেবে দেওয়া এবং ঋণগ্রহীতার ধার করা যেকোন পরিমাণ অর্থ।
“বিতরণ তারিখ“ অর্থ হল সেই তারিখ, যখন ব্যাংক তার ঋণ গ্রহীতার একাউন্টে ঋণের টাকা প্রদান করে অথবা ঋণ গ্রহীতার একাউন্টে ঋণের পরিমাণ প্রদান অথবা প্রেরণের জন্য নির্দেশনা দেয়।
“নির্ধারিত তারিখ“ অর্থ হল কোন ঋণের অধীনে প্রদেয় যেকোন পরিমাণের ক্ষেত্রে, যে তারিখে চুক্তির শর্তাবলীতে এই ধরনের অর্থ বকেয়া হয়; এবং যদি এই তারিখটি এমন একটি দিনে পড়ে যা র্কায দিবস নয়, তবে পরর্বতী র্কায দিবসকে ডিউ বা নির্ধারিত তারিখ ধরা হবে।
“ইঋণ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন/ অ্যাপ্লিকেশন “ এর অর্থ হল ঢাকা ব্যাংকের মালিকানাধীন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যেটি ক্যাশ এ্যালায়েন্স লিমিটেড দ্বারা নির্মিত এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে, যার মাধ্যমে ব্যাংক অত্র ইঋণ শর্তাবলীর অধীনে ইঋণ সুবিধা প্রদান করে।
“ইঋণ শর্তাবলী“ এর অর্থ হল এই র্শতাবলীসমূহ।
“ঋণ” বা “ঋণ পরিমান“ এর অর্থ হল ঋণগ্রহীতার দ্বারা নেওয়া ইঋণ সুবিধা এবং ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত ঋণের পরিমান।
“ঋণ এর কাগজপত্রসমূহ/ডিজিটাল ঋণ এর কাগজপত্রসমূহ “ অর্থ ইঋণ শর্তাবলী, সমস্ত নিশ্চিতকরণ ইমেল, অনুমোদন পত্র/ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনাপত্র, ব্যাংকের নীতি, পণ্যের বিজ্ঞাপন এবং ওয়েবসাইট বা ইঋণ আপ্লিকেশনে আপলোড করা অন্য কোনো নথি বা ইঋণ সুবিধা সম্পর্কিত ই মেইলে যা ঋণগ্রহীতার কাছে ই মেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়।
“ওটিপি“ এর অর্থ এককালীন পাসওয়ার্ড যা গ্রাহককে দেওয়া একটি এককালিন ইউনিক নাম্বর।
“বকেয়া দায়“ অর্থ হল ইঋণ সুবিধার সাথে সম্পর্কিত, যে কোনো সময়ে বিভিন্ন মুদ্রায় এবং সময়ে সময়ে সমস্ত অর্থ, বাধ্যবাধকতা এবং দায়সহ অন্যান্য চার্জের সমষ্টি যা ব্যাংকের কাছে ঋণগ্রহীতার দ্বারা বকেয়া বা ব্যয় করা (ব্যক্তিগতভাবে বা সম্মিলিতভাবে ক্ষেত্রে যেমন হতে পারে) প্রাসঙ্গিক তারিখে মূল অর্থ, সুদ, সুদের উপর সুদ, ফি এবং অন্যান্য খরচ (সীমাবদ্ধতা ছাড়াই, ভঙ্গ করার খরচ, আইনি খরচ সহ), চার্জ, খরচ, ক্ষতিপূরণ এই ধরনের অনুমোদন পত্রে দেওয়া এবং সমস্ত অন্যান্য অর্থ এই ধরনের অনুমোদন পত্রের অধীনে বকেয়া এবং প্রদেয়।
“ব্যক্তি“ অর্থ হল একজন ব্যক্তি, এবং আইনী প্রতিনিধি, প্রশাসক, নির্বাহক, উত্তরাধিকারী, তাদের নিজ নিজ উত্তরাধিকারী এবং নিযুক্ত ব্যাক্তি অন্তর্ভুক্ত হবে।
“পলিসি“ ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত কাস্টমার নীতি, ব্যবহারকারীর শর্তাবলী, ব্যাংকের গোপনীয়তা নীতি এবং অন্যন্যা নীতিসমূহ ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তবে এতেই সীমাবদ্ধ নয়।
“নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট” বা “অ্যাকাউন্ট“ বলতে ইঋণ সুবিধা নেওয়ার জন্য ব্যাংকে নিবন্ধিত ঋণগ্রহীতার অ্যাকাউন্ট বোঝাবে।
“সামাজিক ঋণের ভাগ” বা “এসএলকিউ“-এর অর্থ এই ইঋণ শর্তাবলীর ৩.৫ ধারায় যা উল্লেখ করা হয়েছে।
“ওয়েবসাইট“ এর অর্থ ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ওয়েবসাইট www.dhakabankltd.com, এবং অন্য যেকোন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে ইঋণ সুবিধার শর্তাবলীসমূহ প্রদর্শিত থাকবে।
১. ইঋণ সুবিধার সীমাঃ
ঋণগ্রহীতা ঢাকা ব্যাংক-এর ওয়েবসাইটে ইঋণের আবেদনটি পূরণ করে ১,০০০.০০ টাকা (বাংলাদেশি টাকা এক হাজার) থেকে ৫০,০০০.০০ টাকা (বাংলাদেশি টাকা পঞ্চাশ হাজার) র্পযন্ত ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ব্যাংক তার ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পলিসি অনুযায়ী ঋণগ্রহীতার ইঋণ সুবিধার সীমা নির্ধারণ করার অধিকার রাখে। যে কোনো সময়ে এই ইঋণ সুবিধার উল্লেখিত সীমা সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, হ্রাস বা বাতিল করার অধিকার ব্যাংক সংরক্ষন করে।
২. সুদ এবং অন্যান্য ফিঃ
- ইঋণ এর সুদের হার বার্ষিক ৯.০০% এবং এটি মাসিক ভিত্তিতে চার্জ করা হবে। ব্যাংক তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে কোন সময় এই সুদের হার পরিবর্তন/সংশোধন করার অধিকার সংরক্ষণ করে। এই ধরনের সংশোধিত সুদের হার ই-মেলের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতাকে জানানো হবে।
- ইঋণ সুবিধার আংশিক বা পূর্ণ যেকোন পরিশোধের জন্য প্রথমে সুদ, যা ইঋণ সুবিধায় জমা হয়েছে তা পরশিোধ করা হবে অতঃপর মূল পরিমাণ টাকা পরশিোধ করা হবে।
- প্রসেসিং ফি ব্যাংকের সিডিউল অফ চার্জের প্রচলিত চার্জ অনুযায়ী প্রদান করতে হবে।
- যদি ঋণগ্রহীতা নির্ধারিত তারিখে বা তার আগে একটি কিস্তি পরশিোধ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে নির্ধারিত তারিখের পরে বার্ষিক ২.০০% (২.০০% পি. এ) হারে জরিমানা/শাস্তিমূলক সুদ আরোপ করা হবে।
- ঋণগ্রহীতা প্রতিটি ঋণ পণ্যের জন্য “প্রসেসিং ফি” হিসাবে ভ্যাট সহ ০.৫০% ব্যাংকে প্রক্রিয়াকরণ ফি প্রদান করতে দায়বদ্ধ হবেন। নতুন এবং পুনর্নবায়নকরণ ইঋণ সুবিধা উভয়ের আবেদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রসেসিং ফি চার্জ করা হবে। ব্যাংক যেকোন সময় প্রসেসিং ফি এর পরিমাণ পরিবর্তন করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
- ব্যাংক তার বিবেচনার ভিত্তিতে ইঋণ সুবিধার জন্য প্রযোজ্য সুদের হার/কমিশন/অন্যান্য চার্জ (জরিমানা সুদের হার সহ) পরিবর্তন/পরিবর্ধন করার অধিকার রাখে। এই ধরনের সংশোধিত/সংশোধিত হার ওয়েবসাইট এবং আবেদনে ঘোষিত এই ধরনের পরিবর্তন/সংশোধনের তারিখ থেকে কার্যকর হবে এবং ঋণগ্রহীতার প্রকৃত নোটিশ/নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে নয়।
- সময়ে সময়ে ব্যাংক দ্বারা নির্ধারিত সুদের হার সম্পূর্ণ কার্যকর থাকবে এবং যদি ব্যাংকে ঋণগ্রহীতার নামে খোলা অ্যাকাউন্ট/অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ হয়ে যায়, নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় বা মোকদ্দমায় পড়ে, সমস্ত বকেয়া সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি না হওয়া র্পযন্ত ঋণগ্রহীতা অত্র ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ থাকবে।
৩. নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট এবং সামাজিক ঋণের পরিমাণঃ
- নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট: ই-ঋনের মাধ্যমে একটি ঋণ পেতে, ঋণগ্রহীতাকে ইঋণ অ্যাপ এ নিজেকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন শুধুমাত্র একটি বৈধ ফেসবুক, লিংকডইন অথবা গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করা যাবে। ইঋণ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোনে ব্যবহার করা যায় এবং ঋণগ্রহীতা অবশ্যই ইঋণ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি বন্ধ বা আনইনস্টল বা নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ করবেন না যতক্ষণ না ঋণের পরিমাণ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করা হবে। ঋণগ্রহীতাকে শুধুমাত্র একবার ইঋণ সুবিধার জন্য ব্যাংকে নিবন্ধন করতে হবে, যার বিপরীতে তিনি ওটিপি আকারে একটি এককালিন ইউনিক পাসওর্য়াড পাবেন। একবার ঋণগ্রহীতা ইঋণ সুবিধার জন্য ব্যাংকে নিবন্ধিত হলে, তিনি পরবর্তীতে ইঋণ সুবিধার জন্য ব্যাংকে আবেদন করতে পারেবেন। যদি কোন ঋণগ্রহীতার প্রোফাইলের বিশদ পরিবর্তন হয়, যেমন নিয়োগকর্তা, বেতন, ঠিকানা, যোগাযোগের বিবরণ, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ ইত্যাদি, ঋণগ্রহীতাকে অবিলম্বে ইঋণ (ব্যাংক)কে অবহিত করতে হবে।
- ইঋণ সুবিধা প্রাপ্ত হওয়ার জন্য ঋণগ্রহীতার যোগ্যতার মানদন্ড নিম্নরূপঃ
- ক। উক্ত ঋণগ্রহীতার বয়স ২১ বছরের বেশি হতে হবে।
- খ। উক্ত ঋণগ্রহীতাকে চাকরিতে থাকতে হবে বা ইঋণ সুবিধার বিপরীতে বকেয়া দায় পরিশোধের জন্য আয়ের প্রমাণিত উৎস থাকতে হবে।
- গ। ঋণগ্রহীতার নিজের নামে একটি বৈধ ব্যাংক/এমএফএস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
- ঘ। ঋণগ্রহীতার একটি বৈধ গুগল এবং/অথবা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
- ঙ। ঋণগ্রহীতার কাছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারি করা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), সরকারীভাবে বৈধ নথিপত্র থাকতে হবে যা পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সও অন্তর্ভুক্ত করবে।
- ঋণগ্রহীতাকে ইঋণের সাথে যথাযথভাবে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট খোলার পৃষ্ঠায় নির্ধারিত মৌলিক বিবরণ এবং নথি প্রদান করতে হবে। ব্যাংকে প্রয়োজনীয় নথিগুলি সময়ে সময়ে ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত ব্যাংকের কেওয়াইসি (KYC) নীতি অনুসারে জমা দিতে হবে। ঋণগ্রহীতার দ্বারা প্রদত্ত মৌলিক বিবরণ এবং নথিতে যেকোনো পরিবর্তন ব্যাংককে অবহিত করতে হবে।
- উক্ত প্রদত্ত নথি এবং বিবরণের উপর ভিত্তি করে, ঋণগ্রহীতার যোগ্যতা গণনা করা হবে এবং ঋণগ্রহীতাকে তার যোগ্যতা সম্পর্কে অবহিত করা হবে। এটা হতে পারে যে, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার প্রোফাইল অসম্পূর্ণ থাকার কারণে যোগ্যতা মূল্যায়ন প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নিতে পারে, বা প্রয়োজনীয় নথি প্রদান না করার কারণে বা অতিরিক্ত তথ্য, ঋণগ্রহীতার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণের জন্য নথির প্রয়োজন হতে পারে।
- সামাজিক ঋণের পরিমান: ঋণগ্রহীতা স্বীকার করেন যে, সামাজিক ঋণের পরিমান (এসএলকিউ) হল ক্যাশ-ই (CASHe) এলায়েন্স লিমিটেড এবং দি সোশাল লোন কোম্পানির ঋণ সুবিধার মালিকানাধীন একটি ক্রেডিট রেটিং স্কোর, যাতে ঋণগ্রহীতাদের যখনই প্রয়োজন হবে তখনই তাদের ক্যাশই প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা ধার করতে পারে। এসএলকিউ হল ঋণগ্রহীতার সামাজিক উপস্থিতির একটি মূল্যায়ন যা প্রদত্ত বিশদ বিবরণ, মোবাইল ডেটা, ফেসবুক এবং/অথবা গুগল, তার কর্মসংস্থানের ইতিহাস এবং অন্যান্য পরিমিতির ভিত্তিতে কিন্তু এগুলোতই সীমাবদ্ধ নয়, যা নির্ধারণ করে কিভাবে ঋণগ্রহীতা ব্যাংকের কাছে বকেয়া দায় ফেরত দিতে পারে। ব্যাংকের বিবেচনার ভিত্তিতে এসএলকিউ বা পর্যাপ্ত এসএলকিউ অনুপস্থিতিতে ঋণগ্রহীতাকে ইঋণ সুবিধার জন্য আবেদন করা থেকে বিরত রাখা যেতে পারে।
- ঋণগ্রহীতা যদি সম্মতি দেন যে তিনি এসএলকিউ সহ যোগ্যতার মানদন্ড মেনে নেবেন যা ব্যাংক কতৃক বা ব্যাংকের দ্বারা কমিশন করা তৃতীয় পক্ষের এজেন্সি দ্বারা গণনাকৃত। ব্যাংক বা তৃতীয় পক্ষ এজেন্সি ঋণগ্রহীতার সাথে এসএলকিউ সহ যোগ্যতার মাপকাঠিতে পৌঁছানোর যোগ্যতা বা বিশদ বিবরণ বা ভিত্তি আদানপ্রদান করার জন্য কোনো অবস্থাতেই দায়বদ্ধ থাকবে না।
- ব্যাংক তার অধিকারবলে কোন কারণ প্রদর্শন করার প্রয়োজন ছাড়াই আপনার আবেদন মঞ্জুর করতে পারে। আপনি যদি ব্যাংকের দ্বারা নির্ধারিত মানদন্ড পূরণ না করতে পারেন তবে ব্যাংক ঋণের আবেদনটি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রাখে।
- ইঋণ সুবিধা যা ঋণগ্রহীতার এসএলকিউ এবং ঋণগ্রহীতার দ্বারা নির্বাচিত বিকল্পের উপর নির্ভর করে এবং ব্যাংকের সম্পূর্ণ বিবেচনার ভিত্তিতে ঋণগ্রহীতা গ্রহণ করতে পারেন। উপরে উল্লেখ করা সত্বেও, ঋণগ্রহীতা আদৌ ইঋণ সুবিধা গ্রহণের জন্য যোগ্য কিনা সেই সাথে ইঋণ সুবিধার পরিমাণ নির্ধারণ করার অধিকার ব্যাংক সংরক্ষণ করেন।
- ঋণগ্রহীতাকে ইঋণ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে তিনি যে পরিমাণ ঋণ নিতে চান তা উল্লেখ করে একটি অনলাইন আবেদন পূরণ করতে হবে । ব্যাংকের প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি এবং বিশদ বিবরণ প্রদান করার পরে, ব্যাংক ঋণগ্রহীতাকে ঋণের পরিমাণ নিশ্চিত করে একটি তথ্য পাঠাবে যেখানে ঋণগ্রহীতা ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে উল্লেখ থাকবে । অতঃপর, ঋণগ্রহীতার দ্বারা আপলোড করা সর্বশেষ ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনুসারে ঋণের পরিমাণ ঋণগ্রহীতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট/মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এএফএস) অ্যাকাউন্টে বিতরণ করা হবে।
- এসএলকিউ এবং লোন পাওয়ার অফারটি ব্যাংকের বিবেচনার ভিত্তিতে ঋণগ্রহীতার কাছে প্রাপ্ত তথ্যের তারিখ থেকে ৯০ (নব্বই) দিনের জন্য র্কাযকর থাকবে। যদি ঋণগ্রহীতা ব্যাংকের কাছ থেকে জানার ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে লগ-ইন করতে এবং বিতরণের অনুরোধ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে অফারটি বাতিল হয়ে যাবে এবং ঋণগ্রহীতাকে ইঋণ সুবিধার জন্য ব্যাংকের কাছে নতুন করে পুনরায় আবেদন করতে হবে।
- ব্যাংক অনুমোদিত ইঋণ টি বিতরণ করতে বাধ্য থাকবে না, যদি না-
- ক। ঋণগ্রহীতা ইঋণ সুবিধার জন্য আবেদনপত্রটি যথাযথভাবে পূরণ করেন।
- খ। উক্ত ঋণগ্রহীতা ব্যাংকের নিশ্চয়তার জন্য ব্যাংকের প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি এবং বিবরণ প্রদান করেন।
- গ। ঋণগ্রহীতার এসএলকিউ ব্যাংকের যোগ্যতার মানদন্ড অনুযায়ী হয়।
- ঘ। ঋণগ্রহীতা ইলেকট্রনিকভাবে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য ও নথিপত্র প্রদান ও নিশ্চিত করেন এবং ডিজিটাল লোন ডকুমেন্ট গ্রহণ করেন।
- ঙ। ঋণগ্রহীতা এই ইঋণ শর্তাবলীর কোনো বিধান লঙ্ঘন না করেন, এবং কোনো ইভেন্ট অফ ডিফল্ট, বা ডিফল্টের নোটিশও দেওয়া না হয়।
- চ। ঋণগ্রহীতা ব্যাংক কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদান করা অন্যান্য সকল শর্ত পূরণ করবেন।
- ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঋণগ্রহীতাকে বা তার পক্ষে ইঋণ সুবিধাটি বিতরণ করা হবে। ঋণগ্রহীতকে প্রদান করা ইঋণ টি ঋণগ্রহীতার দ্বারা গ্রহণকৃত একটি ঋণ বলে গণ্য হবে।
- কোন ঋণগ্রহীতা একটি নিবন্ধিত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে র্সর্বোচ্চ ৩,০০,০০০.০০ (বাংলাদেশি টাকা তিন লাখ) টাকা সীমার মধ্যে ঋণ গ্রহন করতে পারবেন।
- এই ইঋণ শর্তাবলীতে উপরে বা অন্য কোথাও যা কিছু উল্লেখ থাকুক না কেন, ঋণগ্রহীতা স্পষ্টভাবে সম্মত হন যে ব্যাংক এই ইঋণ সুবিধাটি চালিয়ে যেতে বা বিতরণ করতে বাধ্য থাকবে না, এবং ব্যাংক তার একক বিবেচনার ভিত্তিতে, যে কোনো সময়, কোনো কারণ ব্যতিরেকে, বিতরণ করতে অস্বীকার করা বা অন্যথায় ঋণটি বন্ধ করা যার ফলস্বরূপ পুরো ঋণ ফেরত নেওয়াসহ যে সিদ্ধান্তই নিবেন ঋণগ্রহীতা তা মানতে বাধ্য থাকিবেন, এবং ঋণগ্রহীতা কোনোরূপ প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকবেন এবং এর ফলে ঋণগ্রহীতা বা অন্য কোনো ব্যক্তির কোনো ক্ষতি বা অন্যান্য পরিণতির জন্য ব্যাংক কোনভাবেই দায়ী থাকবে না।
৪. ইঋণ বিতরণঃ
ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ডিজিটাল লোন ডকুমেন্টগুলি গ্রহণ এবং সম্পূর্ণ করার পরে ব্যাংক ঋণগ্রহীতার অ্যাকাউন্টে ইঋণ সুবিধা অনুমোদন ও বিতরণ করবে। কোনো সময়েই ব্যাংকের বিশদ বিবরণ এবং/অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ অন্য কোনো প্রয়োজনীয় তথ্য ঋণগ্রহীতা দ্বারা ভুল ভাবে প্রদান করার কারণে ঋণগ্রহীতার কোনো ক্ষতির জন্য ব্যাংক দায়ী থাকবে না।
৫. ইঋণ এর মেয়াদঃ
ঋণগ্রহীতা ইঋণ সুবিধা থেকে উদ্ভূত বকেয়া দায়সমূহ পরিশোধের জন্য তার নিজস্ব ঋণ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত তহবিল এর ব্যবস্থা করবে অথবা করার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে। ইঋণ সুবিধার বকেয়া দায়সমূহ সংশ্লিষট অনুমোদন পত্রে উল্লখে করা মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। ইঋণ সুবিধার মেয়াদ নিম্নরূপ, যা ঋণগ্রহীতার সামর্থ্য এবং ব্যাংকের ক্রেডিট মূল্যায়নের মানদন্ডের উপর নির্ভর করে:
ইঋণ সুবিধা (অর্থ পরিমানে সীমাবদ্ধ হবে) | পরিশোধ মেয়াদ (মাসিক/বার্ষিকী) |
১,০০০.০০ (বাংলাদেশী এক হাজার) টাকা হতে ৫০,০০০.০০(বাংলাদেশী পঞ্চাশ হাজার) টাকা র্পযন্ত । | ৩মাস/৬ মাস |
৬. পূর্ণ পরিশোধ এবং পূর্ব পরিশোধঃ
পরিশোধঃ
- ইঋণ সুবিধার বকেয়া দায়গুলি ইমেলের মাধ্যমে প্রেরিত সংশ্লষ্টি অনুমোদন পত্রে উল্লখে করা মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
- ঋণগ্রহীতার যে অ্যাকাউন্টে ব্যাংক র্কতৃক ইঋণ সুবিধা বিতরণ করা হয়েছে ঋণগ্রহীতা তার সে একই অ্যাকাউন্ট থেকে বকেয়া দায় পরিশোধ করবেন ।
- ঋণগ্রহীতা তার অ্যাকাউন্টে বকেয়া পরিমাণ টাকা জমা দেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত যে কোনও একটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন; (ক) নগদ বা চেকের মাধ্যমে অথবা (খ) ব্যাংক ট্রান্সফার/ ইএফটিএন/ এনপিএসবি দ্বারা; অথবা (গ) এমএফএস থেকে স্থানান্তরের মাধ্যমে পরিশোধিত করতে পারবেন।
- যদি এই ইঋণ শর্তাবলীর অধীনে কোনো ঋণ পরিশোধ করা প্রয়োজন হয় এমন একটি দিনে বা তার আগে যা র্কায দিবস নয় বা এমন একটি দিনের মধ্যে যা র্কায দিবস নয় বা এমন একটি সময়ের মধ্যে যা এমন দিনে শেষ হয় যা একটি র্কায দিবস নয়, সেক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা উক্ত তারিখ বা সময়রে আগে ঋণ পরিশোধের টাকা জমা দিবেন।
র্পূবপরিশোধ:
- উপরোক্ত বিবরণসমূহ সত্ত্বেও, ঋণগ্রহীতা যদি অনুমোদন পত্রে উল্লেখিত নির্ধারিত তারিখের আগে কোনো ইঋণ সুবিধা বা তার অংশ র্পূবপরিশোধ করতে চান, তাহলে ঋণগ্রহীতা তা করতে পারেন। এই ধরনের যেকোন নোটিশ erininfo@dhakabank.com.bd ঠিকানায় ইমেল করতে হবে।
- উক্ত ইঋণ সুবিধা আংশিকভাবে বা সম্পূর্ণরূপে র্পূবপরিশোধ কালে প্রথমে ট্যাক্স, সুদ, এবং অন্যান্য ফি পরশিোধ করা হবে এবং তারপরে মূল/আসল পরশিোধ করা হবে।
৭. ডিফল্টঃ
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে, ঋণগ্রহীতার ইঋণ সুবিধাটি ডিফল্ট (“ঋণ পরিশোধ না করা”) হিসেবে গণ্য করা হবে:
- উপাদানে পরিবর্তনঃ যে কোনো বৈষয়িক প্রতিকূল পরিস্থিতির উদ্ভব হলে যা ডিবিএল- এর মতে একটি বিশ্বাস বা সন্দেহের জন্ম দেয় যে ঋণগ্রহীতা এই ইঋণ শর্তাবলীর অধীনে তার বাধ্যবাধকতা পালন করতে সক্ষম নন।
- বকয়ো পরিশোধ না করাঃ ইঋণ শর্তাবলীতে উল্লিখিত পদ্ধতিতে ঋণগ্রহীতা ডিবিএলকে প্রদেয় কোনো অর্থ প্রদান না করা; বা
- বিলম্বিত বকেয়া অর্থপ্রদানঃ ঋণগ্রহীতার এই ইঋণ শর্তাবলীতে প্রদত্ত পদ্ধতিতে ইএমআই প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়া; বা
- অন্যান্য বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘনঃ ঋণগ্রহীতার এই ইঋণ শর্তাবলীর অধীনে এক বা একাধিক বাধ্যবাধকতা সম্পাদন বা মেনে না চলা; বা
- অত্র চুক্তির অধীনে বা এর সাথে সম্পর্কিত ঋণগ্রহীতার দ্বারা প্রদত্ত যেকোন বিবৃতি, প্রতিনিধিত্ব বা ওয়ারেন্টি যে কোন উপাদানগত দিক থেকে ভুল থাকা বা ভুল প্রমাণিত হওয়া; বা
- যে কোনও আর্থিক বিবৃতি, চুক্তি বা ঋণগ্রহীতার দ্বারা ব্যাংকে দেওয়া অন্যান্য নথিতে কোনও ভুল বর্ণনা বা বিভ্রান্তকির তথ্য দেওয়া বা বাদ দেওয়া; বা
- ঋণগ্রহীতার মৃত্যু বা শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা বা অন্য কোনো কারণ যা ঋণগ্রহীতাকে এই ইঋণ শর্তাবলীর অধীনে তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে বাধা দেয়;
- উক্ত ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে কোনো রায় দেওয়া হলে, যার জন্য ত্রিশ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে না বা উক্ত রায়ের বিরূদ্ধে আপিল মুলতবি থাকবে না, অথবা
- কোন ওয়ারেন্ট, সংযুক্তির আদেশ, ট্যাক্স লেনদেন বা শুল্ক, ডিস্ট্রেট, গার্নিশমেন্ট বা অন্যান্য শুল্ক ঋণগ্রহীতার যে কোনও সম্পত্তির বিরুদ্ধে জারি করা বা বাংলাদেশের আদালতের যে কোনও কার্যধারার অধীনে কোনও দেওয়ানী প্রক্রিয়া শুরু, আহবান বা ব্যবহার করা। ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে বা ঋণগ্রহীতার কোনো সম্পত্তির ব্যাপারে কোনো বিচারের মাধ্যমে পাওনাদার বা কোনো প্রাপক, আদালত বা সরকারী কর্তৃপক্ষ এই ধরনের সম্পত্তির কোনো উল্লেখযোগ্য অংশ দখল বা নিয়ন্ত্রণ করা বা ঋণগ্রহীতার বিষয় ও বাধ্যবাধকতার ওপর নিয়ন্ত্রণ করা, অথবা
- যেকোন উপাদানগত প্রতিকূল পরিস্থিতি যদি উদ্ভব হয় যা যুক্তিসঙ্গত কারণ দেয়, যার জন্য ব্যাংক বিশ্বাস করে যে ঋণগ্রহীতা এখানে তার বাধ্যবাধকতাগুলি পালন করবে না (বা করতে পারে না)
৮. ঋণ পরিশোধ না করার পরিণতিঃ
ঋণ পরিশোধ না করার যেকোনো ঘটনায় ইঋণ সুবিধার সমস্ত বা একটি অংশ, যেমনটি ব্যাংক তার একক বিবেচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করবে, উপস্থাপনা বা অর্থপ্রদানের দাবি ছাড়াই অবিলম্বে প্রদেয় এবং প্রদেয় হবে, যা এতদ্বারা ঋণগ্রহীতার দ্বারা স্পষ্টভাবে মওকুফ করা হয়েছে, এবং তারপরে বকেয়া দায়গুলি আইনি হারে সুদ বহন করবে (যদি সেই হারের চেয়ে বেশি হয় তাহলে প্রযোজ্য হবে), তবে শর্ত থাকে যে, ব্যাংক লিখিতভাবে নোটিশের মাধ্যমে কোনও বকেয়া দায়বদ্ধতার উপর এই জাতীয় কোনও ঘটনার প্রভাব মওকুফ, স্থগিত বা সংশোধন করতে পারে যা ঋণগ্রহীতার আগে বা পরে একই সময়ে ঘটতে পারে। প্রতিটি এই ধরনের দাবিত্যাগ, স্থগিতাদেশ, বা পরিবর্তন, শুধুমাত্র জড়িত নির্দিষ্ট উদাহরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
৯. শর্তসমুহঃ
- অত্র ইঋণ শর্তাবলী এবং ঋণগ্রহীতার মন্জুরীপত্রের শর্তাবলীর উপর ঋণগ্রহীতার সম্মতি একটি আইনি এবং বাধ্যতামূলক বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করবে এবং ইঋণ শর্তাবলী অনুসারে বলবৎযোগ্য হবে।
- ঋণগ্রহীতার দ্বারা ইঋণ সুবিধা বিতরণ এবং পরিশোধের উদ্দেশ্যে ব্যাংক ঋণগ্রহীতার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট (গুলি) খুলতে এবং চালু রাখতে পারবে।
- উক্ত ইঋণ সুবিধার ক্ষেত্রে সমস্ত পরিশোধিত অর্থ ঋণগ্রহীতাকে অনুমোদন পত্রে উল্লিখিত নির্ধারিত তারিখে পরিশোধ করতে হবে এবং সুদ এবং চার্জ এবং খরচ সহ ইঋণ সুবিধা সংক্রান্ত সমস্ত বকেয়া পরিমাণ (একত্রে “বকেয়া দায়”) এমন সময়ে যখন বকেয়া হবে বা হইয়েছে এবং এমন পরিমান অর্থ প্রদান এবং স্থানান্তর করতে হবে যেন ঋণ অ্যাকাউন্ট সর্ম্পূন সমন্বয় করা যায় এবং ঋণগ্রহীতা ব্যাংকের কাছে রক্ষিত তার যেকোনো অ্যাকাউন্ট বা ঋণগ্রহীতার অন্য কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট করার জন্য ব্যাংকে র্পূণ ক্ষমতা প্রদান করবে । সকল ক্ষেত্রেই ঋণগ্রহীতা সর্বদা দায়বদ্ধ থাকবেন এবং ঋণগ্রহীতা সম্মত হবেন যে ব্যাংকে এই ধরনের সমস্ত বকেয়ার সম্পূর্ণ অর্থ তিনি প্রদান করবেন ।
- যদি ঋণগ্রহীতা এই ইঋণ শর্তাবলীতে উল্লিখিত শর্তাবলীসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ব্যাংক ঋণগ্রহীতার কাছে জরিমানা, দন্ড এবং অন্যান্য খরচ, লোকসান দাবি করতে পারবে ।
- ঋণগ্রহীতার জন্য ব্যাংক কর্তৃক ঋণের আরোপতি সুদের হার হবে বার্ষিক ৯.০০% যা সমান মাসিক বিরতিসহ ব্যাংক মাসিক কিস্তির ভিত্তিতে আদায় করবে।
- ব্যাংকের ঋণের সুদ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণের পরিমাণ ডেবিট করার তারিখ থেকে এবং অর্থপ্রদানের তারিখ পর্য্ন্ত/সহ ঋণের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হবে।
- ঋণগ্রহীতার স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটলে, ব্যাংক তার/তার নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ঋণগ্রহীতার শেষ পরিসেবা সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হবে এবং উত্তরাধিকারী/নমিনিদের কোনো অর্থ্ ফেরত দেওয়ার আগে সর্বপ্রথমে বকেয়ার পরিমান সমন্বয় করবে।
- যদি, যে কোনো সময়ে, অত্র ইঋণ শর্তাবলীতে উল্লিখিত শর্তাবলীসমূহের কোনো বিধান বেআইনি, অবৈধ, বা কোনো ক্ষেত্রে অপ্রয়োগযোগ্য হয়ে ওঠে, বাকি বিধানগুলির আইনি বৈধতা বা প্রয়োগযোগ্যতা এর দ্বারা প্রভাবিত হবে না।
- ব্যাংক যে কোন সময় এই শর্তাবলী পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। এই ধরনের পরিবর্তনের বিজ্ঞপ্তি ওয়েবসাইট এবং ইঋণ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে আপলোড করা হবে।যেদিন থেকে ব্যাংকের দ্বারা ওয়েবসাইটে এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে কোন পরিবর্তনের বিজ্ঞপ্তি আপলোড/পোস্ট করা হবে সেদিন থেকে পরিবর্তনগুলি কার্যকর হবে এবং ঋণগ্রহীতার জন্য তা বাধ্যতামূলক হবে।
- খেলাপি হওয়ার ক্ষেত্রে, ব্যাংক ঋণগ্রহীতার ইঋণ সুবিধা ফিরিয়ে নেবার এবং ঋণগ্রহীতার বকেয়া দায় পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
- ব্যাংক নিশ্চিত করবে যে ঋণগ্রহীতার ব্যক্তিগত তথ্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে এবং সুরক্ষিত অবস্থায় আছে।
- ঋণের নথির অধীনে ঋণগ্রহীতার দ্বারা কোনো শর্তাবলী লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, ব্যাংক তার বিবেচনার ভিত্তিতে এবং ঋণগ্রহীতার কোনো পরর্বতী সম্মতি ছাড়াই একটি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষকে তার দাবিগুলি অর্পণ করতে পারবে।
- ঋণগ্রহীতা তার/তাদের নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদেয় বেতন/মজুরী/সম্মানী ব্যাংকের সাথে নিবন্ধিত/মনোনীত অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে যাতে ব্যাংক বকেয়া দায়গুলি সামঞ্জস্য করতে পারে।
- ঋণগ্রহীতা সম্মতি দেন যে ইঋণ সুবিধাটি যে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, ঋণগ্রহীতা সেই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যেই ইঋণ সুবিধাটি ব্যবহার করবে।
- ঋণগ্রহীতা নিঃশর্তভাবে অঙ্গীকার করেন যে ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো অনুমোদন পত্রের শর্তাবলী অনুযায়ী এই ইঋণ সুবিধাটির পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করবেন।
- যদি ঋণ অ্যাকাউন্টটি অনিয়মিত হয়ে যায়, ঋণগ্রহীতা অপরিবর্তনীয়ভাবে ব্যাংককে তার সমস্ত সিকিউরিটি, যার মধ্যে আদায়যোগ্য অ্যাকাউন্ট, চুক্তির অর্থ, এফডিআর, ইত্যাদি ব্যাংকের একান্ত বিবেচনার ভিত্তিতে ব্যবহার/আদায় করার জন্য ক্ষমতা প্রদান করবে এবং সমস্ত আইনি ফি সহ বকেয়া অর্থ /দায়বদ্ধতা ব্যাংক ঋণগ্রহীতার সিকিউরিটিজগুলি থেকে সমন্বয় করবে।
- ঋণগ্রহীতা সম্মতি প্রদান করেন যে, যদি কোনো তৃতীয় ব্যক্তি তার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা নিবন্ধিত ডিভাইসে অনুপ্রবেশ করে লেনদেন করে, সেই ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্পাদিত সমস্ত লেনদেনের জন্য দায়ী থাকবেন।
- যদিও ব্যাংক ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্রতারণা, অপব্যবহার, হ্যাকিং এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য সংবেদনশীল, যা এই ইঋণ সুবিধা পরিসেবার ব্যবহারকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কিছুর জন্য ব্যাংক সর্বদা প্রতিরোধ করার জন্য নিরাপত্তা প্রদান করে বা লক্ষ্য রাখে, তবে এই ধরনের ইন্টারনেট জালিয়াতি, হ্যাকিং এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যাংক তার কোনও গ্যারান্টি দিতে পারে না।
- এমনও হতে পারে যে ওয়েবসাইট এবং/অথবা ইঋণ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হতে পারে এবং এই সময়ে ঋণগ্রহীতাদের অনুরোধ প্রক্রিয়া করা সম্ভব নাও হতে পারে। এই রক্ষণাবেক্ষণের ফলে ঋণগ্রহীতার নির্দেশাবলী প্রক্রিয়াকরণে বিলম্ব বা ব্যর্থ হতে পারে। ঋণগ্রহীতা সম্মতি দেন যে এ সকল কারনে ঋণগ্রহীতার যেকোনো নির্দেশনা মানতে ব্যাংকের ব্যর্থতা বা অক্ষমতার দায় ব্যাংক দায়বদ্ধ থাকবেনা ।
- অত্র ইঋণ শর্তাবলী বাংলাদেশের আইন দ্বারা পরিচালিত হবে এবং ঋণগ্রহীতা ও ব্যাংক অপরিবর্তনীয়ভাবে এতদ্বারা বাংলাদেশের আদালতকে বিরামহীন এখতিয়ার দেবে।
- ঋণগ্রহীতা সম্মতি প্রদান করেন যে, ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যম করা সমস্ত কার্যকলাপ আইনগতভাবে বৈধ লেনদেন যা লিখিত লেনদেনের সমান এবং ঋণগ্রহীতা এবং ব্যাংকের স্বাক্ষরিত লিখিত নথির মতো একই অর্থ বহন করবে।
- দেউলিয়াত্ব, ঋণদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলা বা ঋণগ্রহীতার সাথে সম্পর্কিত একটি সুরক্ষা অঙ্গীকার ঘোষণা বা অন্যান্য অনুরূপ বিষয়গুলির সাথে সম্পর্কিত কোনও প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি এবং ঋণগ্রহীতার ব্যবসা, উদ্যোগ বা সম্পদের সাথে সম্পর্কিত কোনও রিসিভার, প্রশাসক, লিকুইডেটর বা অন্যান্য অনুরূপ ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ নিয়োগের জন্য কোনও আদেশ দেওয়া হয়নি।
- এখানে অন্তর্ভুক্ত কোন কিছুই সরকারের প্রযোজ্য আইন, প্রবিধান বা উপ-আইনের সাথে বা বাংলাদশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, স্টক এক্সচেঞ্জ বা রাজস্ব, কর বা সংবিধিবদ্ধ, কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য র্কতৃপক্ষের সাথে সাংঘর্ষিক নয়, যা ঋণগ্রহীতার উপর বাধ্যতামূলক হবে।
- যদি ঋণগ্রহীতা অন্য কোন ব্যক্তিকে ব্যাংকের সাথে লেনদেন করার অনুমোদন দেন, তাহলে অনুমোদিত ব্যক্তির এই ধরনের কাজ ঋণগ্রহীতার জন্য বাধ্যতামূলক হবে।
- ঋণগ্রহীতাকে কোনো নিয়ন্ত্রক/সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ এবং/অথবা ব্যাংক এবং/অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং/অথবা নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির খেলাপিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
- ঋণগ্রহীতা স্বেচ্ছায় তার নিজস্ব বিবেচনার ভিত্তিতে একটি অ্যাকাউন্ট ভিত্তিক সম্পর্ক খোলার উদ্দেশ্যে তার/তার অন্যান্য কেওয়াইসি নথি সহ ঢাকা ব্যাংক/ইঋণ কে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারি করা তার/তার এনআইডি নম্বর প্রদান করেন এবং কেওয়াইসি প্রমাণীকরণের উদ্দেশ্যে তার/তার এনআইডির বিবরণ ব্যবহার করার সম্মতি স্বেচ্ছায় প্রদান করেন। ঋণগ্রহীতার স্বেচ্ছায় দেওয়া এনআইডি কার্ডের বিবরণ সত্য, সঠিক এবং সম্পূর্ণ হতে হবে ।
- এখানে ঋণ আবেদনে বর্ণিত প্রতিটি ধারা-উপধারা, শর্তাবলী ঋনগ্রহীতা কর্তৃক এই ঋণ আবেদনে স্বাক্ষরের দিনে এবং এই চুক্তি বলবত থাকাকালীন এবং বিশেষত প্রতিটি/আংশিক ঋণ ছাড়ের জন্য আবেদনের দিনে অথবা আবেদনের পূর্বে প্রতিটি দিন এবং সময়ের জন্য কার্যকর থাকিবে।
- ঋণগ্রহীতা সম্মতি প্রদান করেন যে ঋণগ্রহীতার আর্থিক অবস্থান, ঠিকানা ইত্যাদির উল্লখেযোগ্য পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সময়ে সময়ে ব্যাংকের কাছে প্রকাশ করবে।
- ঋণগ্রহীতা একটি ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি), বা ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট ইতিহাস এবং সম্পর্কিত বিবরণ ধারণকারী অন্য পরিষেবা প্রদানকারীর কাছ থেকে একটি ক্রেডিট রিপোর্ট পাওয়ার জন্য ব্যাংককে ক্ষমতা প্রদান করবে। প্রমাণীকরণ, ক্রেডিট স্কোরিং এবং ক্রেডিট সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যে ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট রিপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল/কন্টেন্ট, সেলফোন ডেটা এবং কর্মসংস্থান ডেটা ব্যবহার করার অধিকার ব্যাংকের রয়েছে। ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট রেটিং, কোন কোন ব্যক্তিগত এবং ক্রেডিট তথ্য সহ অন্যান্য ব্যাংক সদস্যদের বা জনসাধারণের কাছে ঋণের সিদ্ধান্তের সুবিধার্থে ঋণগ্রহীতার ঋণের বিবরণের সাথে প্রদর্শিত হতে পারে। ঋণগ্রহীতা ব্যাংককে তথ্য যাচাই করার অনুমতি প্রদান করবে এবং ঋণগ্রহীতা সম্মত হন যে ব্যাংক এই ধরনের তথ্য যাচাই করার জন্য তৃতীয় পক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। ঋণগ্রহীতা যখনই ঋণের জন্য আবেদন করবে তখন ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনর্ফমশেন ব্যুরো থেকে ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট রিপোর্টের একটি অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারবে। যদি ঋণগ্রহীতার নামে বা ঋণগ্রহীতার কোম্পানির নামে কোনো দায় পাওয়া যায়, তাহলে ঋণগ্রহীতা ঋণের জন্য আবদেনকৃত ঋণের অনুমোদন/নবায়ন/পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত যেকোনো সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য হবে এবং এই মিথ্যা বা বানোয়াট তথ্য প্রদানের জন্য আইন মোতাবেক শাস্তিযোগ্য হবে।
- ঋণগ্রহীতা ব্যাংককে ঋণগ্রহীতার ব্যক্তিগত পরিচয়, ঋণগ্রহীতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ঋণগ্রহীতার সামাজিক অবস্থা এবং ঋণগ্রহীতার দ্বারা সরবরাহকৃত অন্যান্য তথ্য নিশ্চিত করার জন্য যাচাইকরণের পদ্ধতি গ্রহণ করার অনুমতি প্রদান করে। ঋণগ্রহীতা এটাও স্বীকার করেন যে, ব্যাংক তথ্য ও পরিচয় যাচাইকরণ পরিচালনার জন্য তৃতীয় পক্ষকে ঋণগ্রহীতার তথ্য প্রদান করতে পারবে এবং ঋণগ্রহীতা এতদ্বারা ব্যাংককে ঋণগ্রহীতার সম্পর্কে কোনো তথ্য যাচাই করার জন্য তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার অনুরোধ ও প্রাপ্তির অনুমতি প্রদান করে।
- ঋণগ্রহীতা সম্মতি প্রদান করেন যে বকেয়া দায়সমূহ পরিশোধ করা তার একান্ত বাধ্যবাধকতা, যখন সেগুলো পরিশোধে ব্যর্থ/বকেয়া হয়ে যায়।
- ঋণগ্রহীতা ব্যাংককে এই মর্মে ক্ষমতা প্রদান করবেন যে, ব্যাংক ঋণের টাকা পরিশোধের উদ্দেশ্যে ঋনগ্রহীতার ব্যাংক একাউন্ট থেক সরাসরি টাকা কর্তন করতে পারবে। ঋণগ্রহীতা ব্যাংককে আরও ক্ষমতা প্রদান করছে যে, বকেয়া টাকা পরিশোধের উদ্দেশ্যে ঋণগ্রহীতার যেকোনো লিয়েনকৃত ব্যাংক একাউন্ট কার্যকর করতে পারবে।
- ঋণগ্রহীতা বাধ্যতামূলকভাবে কেওয়াইসি যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করতে এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিশদ বিবরণ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে সম্মত হন যা ব্যাংক নিজেই যাচাই করার অধিকারী হবে বা তার পক্ষে যাচাই ও মূল্যায়ন করার জন্য কোনও তৃতীয় পক্ষকে নিয়োগ করবে।
- ঋণগ্রহীতা স্পষ্টভাবে ব্যাংককে তার অপরিবর্তনীয় এবং দ্ব্যর্থহীন সম্মতি প্রদান করে যাতে এই ইঋণ শর্তাবলীর অধীনে ব্যাংক তার সমস্ত অধিকার এবং প্রতিকার প্রয়োগ করতে পারবে এবং রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনের অধীনে অন্য কোনও অধিকার এবং প্রতিকারও প্রয়োগ করতে কোনো বাধা নেই৷
- ঋণগ্রহীতা স্পষ্টভাবে তার অপরিবর্তনীয় এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে কোনো তৃতীয় পক্ষের এজেন্ট, আইন সংস্থা বা ব্যক্তিকে ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে বকেয়া দায় বৈধভাবে পুনরুদ্ধারের জন্য নিয়োগ/মনোনীত করার জন্য ব্যাংককে অনুমতি প্রদান করবে।
- উপরে উল্লিখিত ইঋণ সুবিধার কোনো স্থগিতাদেশ বা সমাপ্তি সত্বেও ব্যাংক এবং এর স্বার্থের সুবিধা বা সুরক্ষার জন্য এই ইঋণ শর্তাবলীর সমস্ত বিধান এখানে বিশেষভাবে প্রদত্ত হিসাবে পূর্ণভাবে কার্যকর থাকবে।
- ঋণগ্রহীতা এইমর্মে ব্যাংকের সাথে সম্মতি প্রদান করছেন যে ওয়েবসাইট বা ইঋণ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে বিশদ এবং নথি আপলোড করা বা অ্যাকাউন্ট খোলার সময় বা পরবর্তীতে লিখিত যোগাযোগের মাধ্যমে পরিবর্তিত ঋণগ্রহীতার প্রদত্ত ইমেল ঠিকানায় ইন্টারনেট/ইমেইলের মাধ্যমে তা প্রদান করা ইমেইলই হচ্ছে ঋণগ্রহীতার রেজিষ্টার্ড ইমেইল ঠিকানা। উপরের উল্লেখিত সমস্ত নথিগুলিকে ‘ডিজিটাল লোন ডকুমেন্টস’ হিসাবে ধরা হবে। ঋণগ্রহীতা সম্মতি প্রদান করছেন যে একবার ডিজিটাল লোন ডকুমেন্টগুলি ব্যাংক কর্তৃক ঋণগ্রহীতার ইমেইল ঠিকানায় আপলোড/ইমেইল করা হলে, এটি ঋণগ্রহীতার দ্বারা গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং ঋণগ্রহীতার কাছে প্রিন্ট করা কাগজপত্র পাঠানোর আর প্রয়োজন পরবে না। ঋণগ্রহীতা এইমর্মে আরো সম্মতি প্রদান করছেন যে তিনি ব্যাংকের ডিজিটাল লোন ডকুমেন্ট ইস্যুকরণ বিষয়গুলি পড়েছেন এবং বুঝেছেন।
- উপরোক্ত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ইমেল ঠিকানাটি ইঋণ সুবিধার জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ঋণগ্রহীতার দ্বারা প্রদত্ত ইমেইল ঠিকানাটিও একই হবে। ঋণগ্রহীতার ইমেইল ঠিকানায় যে কোনো পরিবর্তন হলে তা অবিলম্বে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতার প্রোফাইল তথ্য সম্পাদনা করার মাধ্যমে ঋণগ্রহীতা ব্যাংকে অবহিত করবেন।
- ঋণগ্রহীতা ইলেকট্রনিকভাবে ঋণের নথি অ্যাক্সেস করবে। ঋণগ্রহীতা বোঝেন যে এই ধরনের সমস্ত ডিজিটাল লোন ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করা তার (ঋণগ্রহীতার) দায়িত্ব। এতে থাকা সমস্ত তথ্য ঋণগ্রহীতার উপর বাধ্যতামূলক হবে, যদি ঋণগ্রহীতা তা পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিখিতভাবে বা ইলেকট্রনিক মেইলের মাধ্যমে ব্যাংকে আপত্তি না জানান।
- ঋণগ্রহীতা সম্মত হন যে, ইলেকট্রনিক ডেলিভারির মাধ্যমে নথি পাঠানো হলে, ব্যাংক র্কতৃক ঋণগ্রহীতাকে এই ধরনের ঋণের নথি প্রদানের মাধ্যমে আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করেছেন।
- ঋণগ্রহীতা সম্মত হন যে ঋণগ্রহীতা দ্বারা প্রদত্ত ইমেইল ঠিকানা ভুল/পরিবর্তন জনিত কারন বা অন্য কোন কারণে যার মধ্যে মেইল ইনবক্সের অপর্যাপ্ত স্থান, প্রযুক্তিগত কারণ বা ঋণগ্রহীতার কম্পিউটার সিস্টেম(গুলি) সার্ভার/ইন্টারনেট সংযোগ ইত্যাদির কারনে ব্যাংক র্কতৃক ইলেকট্রনিক ডেলিভারির মাধ্যমে প্রেরিত নথি(গুলি) না পাওয়ার জন্য দায়ী থাকবে না। ইমেইল ঠিকানা পরিবর্তন সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ব্যাংককে অবহিত করা ঋণগ্রহীতার দায়িত্ব।
- জালিয়াতি বা প্রতারকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত কোনো নথি বা বিবৃতি বা এর কোনো পরিণতির জন্য ব্যাংক কোনভাবে দায়ী থাকবে না।
- ঋণগ্রহীতা ব্যাংকের কাছ থেকে কোন ধরনের কোনো বিবৃতি পাওয়ার কারনে ঋণগ্রহীতার কম্পিউটার নেটওয়ার্কে উদ্ভূত কোনো সমস্যার জন্য ব্যাংক দায়ী থাকবে না।
- এখানে ঋণ আবেদনে বর্ণিত প্রতিটি ধারা-উপধারা, শর্তাবলী ঋণগ্রহীতা কর্তৃক এই ঋণ আবেদন স্বাক্ষরের দিনে এবং এই চুক্তিতে বলবত থাকাকালীন এবং বিশেষত প্রতিটি/আংশিক ঋণ ছাড়ের জন্য আবেদনের দিনে অথবা আবেদনের পূর্বে প্রতিটি দিন এবং সময়ের জন্য কার্যকর থাকিবে।
- ঋণগ্রহীতা অপরিবর্তনীয়ভাবে ডিবিএলকে ইঋণ সুবিধার বিপরীতে বকেয়া দায় পরিশোধের জন্য ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের যেকোনো শাখার সাথে রক্ষণাবেক্ষণ করা ঋণগ্রহীতার বর্তমান/সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট ডেবিট করার অনুমতি/জ্ঞাত প্রদান করেন।
- ঋণগ্রহীতা এইমর্মে অঙ্গীকার করে, ওয়ারেন্টি দেয় এবং প্রতিনিধিত্ব করে যে আবদেন পত্রে প্রদত্ত রেফারির বিবরণ প্রকৃত এবং নির্ভুল, এবং যেখানে প্রয়োজন, এগুলোই আপ টু ডেট। ঋণগ্রহীতা আরও সম্মতি দেন যে ব্যাংক, তার বিবেচনার ভিত্তিতে, ঋণগ্রহীতার বিবরণ যাচাই করার জন্য রেফারির সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং/অথবা তাদের কাছে যে কোনো সময় ইঋণ সুবিধার বিবরণ প্রকাশ করতে পারে।
- যদি ঋণগ্রহীতা ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, আইডি, পাসওয়ার্ড বা ইঋণ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা ইঋণ সুবিধা বা ইঋণ অ্যাকাউন্টের অন্য কোনো বিবরণ হারিয়ে ফেলে বা নষ্ট করে ফেলে বা মনে করে যে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, আইডি, পাসওয়ার্ড বা অ্যাপ্লিকেশনের অন্য কোনো বিশদ বিবরণ বা ইঋণ সুবিধা বা ইঋণ অ্যাকাউন্ট চুরি বা নষ্ট হয়ে গেছে, অথবা কেউ তার অনুমতি ছাড়াই ইঋণ অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ লেনদেন করেছে বা করতে পারে, ঋণগ্রহীতা অবিলম্বে ব্যাংককে অবহিত করবেন। এই ধরনের হারানো, নষ্ট বা চুরি হয়ে যাওয়া ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, আইডি, পাসওয়ার্ড বা অ্যাপ্লিকেশন বা ইঋণের অন্য কোনো বিবরণ সম্পর্কে অবিলম্বে ব্যাংককে অবহিত করতে ঋণগ্রহীতার ব্যর্থতার কারণে কোনো অননুমোদিত লেনদেনের জন্য ব্যংক কোনোভাবে দায়বদ্ধ হবে না।
১০. যাচাইকরন বিষয়কঃ:
- ডিবিএল- এ সম্পূর্ণ ঋণের আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ঋণগ্রহীতাকে একটি এককালীন পাসওয়ার্ড (ওটিপি) প্রদান করা হবে। একবার ঋণগ্রহীতা আবেদনের নির্ধারিত স্থানে ওটিপি প্রবেশ করালে এবং “স্বীকার করুন (একসেপ্ট)” আইকনে ক্লিক করলে ঋণগ্রহীতা অনুমোদন পত্রে সম্মতি দিয়েছেন এবং স্বাক্ষর করেছেন বলে গণ্য করা হবে।
- ব্যাংক কর্তৃক প্রাপ্ত আবদেনপত্র, ঋণগ্রহীতার দ্বারা সম্পূর্ণ এবং ঋণগ্রহীতার ফোন নম্বরে (ওটিপি) এসএমএস দ্বারা প্রেরিত কোডটি প্রবেশ করে স্বাক্ষরকরণের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতা তার আর্থিক এবং তার সম্পর্কে কোনো তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) তে প্রকাশে অনুমোদন প্রদান করেন ।
- ঋণগ্রহীতা এসএমএস এর মাধ্যমে যে কোডটি পেয়েছেন তা হল একটি এককালীন ইউনকি/অনন্য পাসওর্য়াড (ওটিপি) যা ঋণগ্রহীতার পরিচয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে। একবার ঋণগ্রহীতা এই ওটিপি নম্বরটি প্রবেশ করে এই ইঋণের আবেদনপত্রে তাদের সম্মতি নিশ্চিত করে, তারপর চুক্তিটি ঋণগ্রহীতার জন্য একটি বৈধ এবং বাধ্যতামূলক চুক্তিতে পরিণত হবে এবং ঋণগ্রহীতা পরবর্তীতে এটি প্রত্যাখ্যান করতে পারবেনা।
নিম্নলিখিত ইমেইল ঠিকানায় ইমেইলের মাধ্যমে ব্যাংকে যে কোনও নোটিশ দেওয়া যাবে এবং বা যোগাযোগ করা যাবে:
সদয় দৃষ্টি আকর্ষন: ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
ইমেইল ঠিকানা: erininfo@dhakabank.com.bd
অথবা ঢাকা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ‘যোগাযোগ করুন’ উইন্ডো থেকে ফর্মটি পূরণ করে একটি বার্তা প্রেরণ করুন।
১১. বিবিধঃ
সম্পূর্ন অঙ্গিকারনামা বিবরন বিষয়ক: এই ইঋণ শর্তাবলী বিভিন্ন সময়ে ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত কেওয়াইসি (KYC) নীতি, ঋণ এবং ঝুঁকি নীতি, গোপনীয়তা নীতি এবং অন্য যেকোন নীতি/নিয়ম ও শর্তাবলী ইত্যাদির সাথে একত্রে পড়তে এবং বুঝতে হবে এবং ইঋণ সুবিধার ক্ষেত্রে এই ইঋণ শর্তাবলীসমূহ সম্পূর্ণ চুক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। এই ইঋণ শর্তাবলীর যে কোন বিধান যা কোন এখতিয়ারে নিষিদ্ধ বা অপ্রয়োগযোগ্য, এই ধরনের এখতিয়ার হিসাবে, নিষিদ্ধ বা প্রয়োগযোগ্যতার পরিমাণে অকার্যকর হবে কিন্তু এটি এই ইঋণ শর্তাবলীর অবশিষ্ট বিধানগুলিকে বাতিল করবে না বা অন্য কোনো এখতিয়ারে এই ধরনের বিধানকে প্রভাবিত করবে না।
প্রয়োগযোগ্যতা: যদি অত্র ঋণ আবেদনপত্রটির কোনো বিধান উপযুক্ত এখতিয়ার-সম্পন্ন আদালত দ্বারা কোনো কারণে অবৈধ, বেআইনি বা অপ্রয়োগযোগ্য বলে বিবেচিত হয়, এই ধরনের বিধান বাতিল করা হবে এবং এমনভাবে এই ধরনের ঋণ নথির অবশিষ্ট বিধানসমূহ সম্পূর্ণরূপে চলতে থাকবে এবং কার্যকর থাকবে যেন ঋণের নথিগুলি অকার্যকর, অবৈধ বা অপ্রয়োগযোগ্য বিধান ছাড়াই প্রবেশ করানো হয়েছে।
হস্তান্তর অযোগ্যতা: অত্র ইঋণের নিয়ম ও শর্তাবলীসমূহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের উত্তরাধিকারীগণের এবং পক্ষগণের আইনগত প্রতিনিধিদের ুউপর কার্যকর এবং বাধ্যতা থাকিবে । ঋণগ্রহীতা ব্যাংকের পূর্ব লিখিত সম্মতি ব্যতীত এই চুক্তির অধীনে তার সমস্ত অধিকার বা বাধ্যবাধকতার পূর্ণ বা আংশিক হস্তান্তর, অর্পণ বা অন্যথায় হস্তান্তর করতে পারবেনা এবং এই ইঋণ শর্তাবলী লঙ্ঘন করে কোনও কথিত প্রতিনিধি নিয়োগ করিলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। ব্যাংক যে কোনও সময়ে তার অধিকার, বাধ্যবাধকতা এবং সুবিধাগুলির সর্ম্পূন বা যে কোনও অংশ তার অধীনস্থ কোনও সহায়ক সংস্থা বা সহযোগী সংস্থাকে অর্পণ করতে পারে বা এর অধীনে সমস্ত অধিকার, সুবিধা এবং বাধ্যবাধকতাগুলির সর্ম্পূন বা কোনও অংশ হস্তান্তর বা নতুন করতে পারে, এবং যে কোন ব্যাংক বা কোনও তৃতীয় পক্ষকে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকসমুহ এর নিকট কার্যক্রমসমুহ হস্তান্তর করতে পারবে।
১২. ভাষাঃ
অত্র শর্তাবলীর একটি প্রামাণিক পাঠ্য ইংরেজিতে এবং একটি বাংলাতে অনুবাদ করা থাকবে। তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা এবং ইংরেজি পাঠ্যের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে, ইংরেজি পাঠ্য প্রাধান্য পাবে।
ঋণগ্রহীতা কর্তৃক নিশ্চিতকরণ এবং গ্রহণঃ
আমি, ঋণগ্রহীতা এইমর্মে নিশ্চিত করছি এবং স্বীকার করছি যে ইলেকট্রনিক যোগাযোগ বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে করা সমস্ত লেনদেন/কার্যকলাপ আইনত বৈধ এবং ঋণগ্রহীতার উপর আইনতভাবে বাধ্যতামূলক এবং বলবৎযোগ্য হবে।
আমি এইমর্মে নিশ্চিত করছি যে আমার বয়স ১৮ বৎসর বা তার বেশি এবং আমার এই ইঋণ সুবিধাটি গ্রহন করার আইনগত অধিকার রয়েছে এবং আমি এই র্শতাবলীর ধারা সমূহ এবং নীতি মেনে চলতে বাধ্য থাকিব।
আমি ইঋণ অ্যাপ্লিকেশনটি যথাযথভাবে নিবন্ধন করেছি এবং ইঋণ সুবিধা পাওয়ার জন্য অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আমার দ্বারা প্রদত্ত সমস্ত তথ্য সত্য এবং সঠিক।
উক্ত আমি নিশ্চিত করছি যে আমি এই নিয়ম ও শর্তগুলিসমূহ সম্পূর্ণরূপে বুঝেছি৷ ব্যাংক উল্লেখিত তথ্য এবং সেইসাথে যেকোন সামাজিক, মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে গৃহীত তথ্য ব্যবহার করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত অন্য যেকোন কোম্পানিকে সুদসহ ঋণ (সম্পূর্ণ বা আংশিক) বরাদ্দ করার, হস্তান্তর করার অধিকার ব্যাংকের রয়েছে।